প্রকাশিত: Sat, Jun 1, 2024 11:32 AM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 1:28 PM

[১]মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শান্তিরক্ষা মিশনে না নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে জাতিসংঘ

সালেহ্ বিপ্লব: [২.১] মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ যেনো শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ না পায়, সে বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে জাতিসংঘ।

[২.২] বৃহস্পতিবার এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগের আন্ডারসেক্রেটারি জেনারেল জাঁ পিয়ের লাক্রোয়ার। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

[৩.১] ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা, বাংলাদেশী সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রশ্ন করেন, ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে সম্পৃক্ত ডেথ স্কোয়াড র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‌্যাব) বর্তমান এবং সাবেক সদস্যরা শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়মিত নিয়োগ পেয়ে যাচ্ছে। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ যেনো যাচাই-বাছাই করে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদেরকে যেনো মিশন থেকে বাদ দেওয়া হয়; সে দাবি জানিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এ বিষয়টি নিয়ে আপনারা কতটুকু উদ্বিগ্ন? যেমনটি তুলে ধরা হয়েছে ডি ডব্লিউ,  নেত্র নিউজ এবং ডায়েচে সায়েতিংয়ের করা এক যৌথ অনুসন্ধানী রিপোর্টে। 

[৩.২] জবাবে  আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা সদস্য এবং পুলিশ পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশকে মানদণ্ডের শর্ত দেওয়া হয়েছে। এগুলো মেনে চলা জাতিসংঘের প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

[৩.৩] তিনি বলেন, ডয়চে ভেলে রিপোর্টের ক্ষেত্রে বলতে হয়, শান্তিরক্ষা মিশনে সদস্য পাঠানো সব দেশের কাছে আমাদের আবারও প্রত্যাশা থাকবে তারা যেনো এটা নিশ্চিত করে যে কোনো সদস্য বিরুদ্ধেই যেনো মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং শৃঙ্খলাভঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ না থাকে।

[৩.৪] তিনি বলেন, আমি এটা বুঝতে পেরেছি; মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যখনি মনে হয়েছে এসব উদ্বেগ নিয়ে কথা বলা দরকার, তখনি এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা মিশনে সদস্য প্রেরণকারী বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে কথা বলেছি।

[৪.১] মুশফিকুল আনসারীর আরেকটি প্রশ্ন ছিলো, ওএইচসিএইচআর-এর মানবাধিকার ব্যবস্থার প্রস্তাবিত মানবাধিকার মানদণ্ড মেনে চলার জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের (ডিপিও) প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি এবং স্ক্রিনিং প্রক্রিয়াগুলি প্রয়োগ করার জন্য জাতিসংঘ কি আজ অবধি বাংলাদেশ সরকারের সাথে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করেছে? 

[৪.২] জবাবে আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা কিংবা অন্য সিনিয়র কর্মকর্তার ক্ষেত্রে যখনি এরকম উদ্বেগ প্রকাশের প্রয়োজন হয়েছে, তখনি আমরা এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছি। আমরা এই পদ্ধতি সবসময় সচল রাখি। 

[৪.৩] তিনি বলেন, আমি মনে করি; আমাদের হাতে সঠিক পদ্ধতি রয়েছে। বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগ কিছুটা সময় সাপেক্ষ। এজন্য সময় এবং সমর্থনের প্রয়োজন হয়। আমরা সবগুলো ইস্যুকে খুব গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে থাকি। সম্পাদনা: ইকবাল খান